ওয়েবসাইট ভিজিটরদের রিটার্গেটি
ওয়েবসাইট ভিজিটরদের রিটার্গেটিং একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল, যেখানে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করা বা নির্দিষ্ট পণ্য গ্রাহকদের দেখা করা হয়। এটি মূলত তাদের আগ্রহকে ধরে রাখতে এবং তাদের ক্রয় সিদ্ধান্তে প্রভাবিত করতে ব্যবহৃত হয়। রিটার্গেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইটের পূর্ববর্তী ভিজিটরদের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে পুনরায় আপনার পণ্য বা সেবার প্রতি তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন।
ওয়েবসাইট ভিজিটরদের রিটার্গেটিংয়ের প্রধান কৌশলগুলো:
১. ফেসবুক পিক্সেল ব্যবহার ফেসবুক পিক্সেল একটি কোড যা আপনার ওয়েবসাইটে স্থাপন করা হয়। এটি ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটরদের কার্যকলাপ ট্র্যাক করে এবং ফেসবুকে তাদের বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ তৈরি করে। যখন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে, ফেসবুক পিক্সেল তাদের কার্যকলাপ ট্র্যাক করে (যেমন কোন পণ্য তারা দেখেছে বা কার্টে যোগ করেছে)। এই তথ্য ব্যবহার করে ফেসবুক তাদের প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন দেখায়, যেমন তারা যদি একটি নির্দিষ্ট পণ্য দেখে তবে সেই পণ্য বা সম্পর্কিত অফারসহ বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
২. গুগল রিটার্গেটিং (গুগল অ্যাড রিটার্গেটিং) গুগল অ্যাডজারের রিটার্গেটিং ফিচার ওয়েবসাইট ভিজিটরদের টার্গেট করার ব্যর্থতা কার্যকর করার উপায়। গুগল রিটার্নিং এর মাধ্যমে আপনি গুগল সার্চ, ইউটিউব, এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট আপনার ভিজিটরদের জন্য
৩. কাস্টম অডিয়েন্স (কাস্টম অডিয়েন্স) কাস্টম অডিয়েন্স তৈরি করে আপনি নির্দিষ্ট গ্রাহক ব্যবহারকারীদের টার্গেট করতে পারেন, তারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে। এমন গ্রাহকদের কাছে দেখার সুযোগ দেয়, যারা আপনার পণ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে কিন্তু কেনাকাটা করেনি। কাস্টম অডিয়েন্স ব্যবহার করে আপনি ভিজিটরদের আগের কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন (ডিসকাউন্ট, প্রমোশনাল অফার ইত্যাদি) প্রদর্শন করতে পারেন।
৪. ডায়নামিক রিটার্গেটিং (Dynamic Retargeting) ডায়নামিক রিটার্গেটিং এমন একটি কৌশল, যা আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি ভিজিটরের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন তৈরি করে। এটি বিশেষ করে ই-কমার্স ব্যবসায়ের জন্য কার্যকর। যদি কেউ আপনার ওয়েবসাইটে একটি নির্দিষ্ট পণ্য দেখে তবে ডায়নামিক রিটার্গেটিং সিস্টেম তাদের ঠিক সেই পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখাবে। এটি গ্রাহকদের আগ্রহকে আরও ভালোভাবে ধরে রাখে।
৫. ইমেইল রিটার্গেটিং যদি আপনার কাছে গ্রাহকদের ইমেইল অ্যাড্রেস থাকে, তবে ইমেইল রিটার্গেটিং কৌশল ব্যবহার করে আপনি তাদের কাছে কাস্টমাইজড বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনাল ইমেইল পাঠাতে পারেন। বিশেষ করে যারা ওয়েবসাইটে শপিং কার্টে পণ্য যোগ করেও ক্রয় করেনি, তাদের জন্য এটি কার্যকরী হতে পারে। ইমেইল রিমার্কেটিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে বিশেষ অফার বা ডিসকাউন্ট পাঠিয়ে তাদের পুনরায় সাইটে নিয়ে আসা সম্ভব।
৬. ফ্রিকোয়েন্সি ক্যাপিং ফ্রিকোয়েন্সি ক্যাপিং রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপন কৌশলে এমন একটি টুল যা নির্দিষ্ট করে যে ভিজিটরদের কতবার বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। যদি ভিজিটররা একটি বিজ্ঞাপন বারবার দেখে বিরক্ত হয়ে যায়, তাহলে এই টুলটির মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের প্রদর্শন সংখ্যা সীমিত রাখা যায়। এটি বিজ্ঞাপন ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।
৭. কনভার্সেশন ড্রাইভিং (Conversion-Oriented Retargeting) রিটার্গেটিং কৌশলের উদ্দেশ্য হলো কনভার্সন বাড়ানো। তাই ক্রেতাদের এমন অফার দেওয়া যেতে পারে, যা তাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি সীমিত সময়ের ডিসকাউন্ট বা একটি বিশেষ অফার দেওয়া যেতে পারে। ওয়েবসাইট রিটার্গেটিংয়ের সুবিধা: কাস্টমাইজড বিজ্ঞাপন: আপনি ভিজিটরের আগ্রহ অনুযায়ী তাদের বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন।
*কনভার্সন রেট বৃদ্ধি: আগ্রহী ভিজিটরদের পুনরায় টার্গেট করে বিক্রয় বৃদ্ধির সুযোগ থাকে।
*ব্র্যান্ড রিকগনিশন: ভিজিটরদের মধ্যে ব্র্যান্ডের পরিচিতি এবং আগ্রহ বজায় রাখা সহজ হয়।
*অপচয় কমানো: রিটার্গেটিংয়ের মাধ্যমে এমন গ্রাহকদের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, যারা ইতিমধ্যেই আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানে, ফলে বিজ্ঞাপনের বাজেট সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়।
Comments
Post a Comment